২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১,৮২,১২৯ জন শিক্ষার্থী। অনেকেই হয়ত জানেন না যে বাংলাদেশে ২০০১ সালে এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের মাধ্যমে সর্ব প্রথম গ্রেডিং পদ্ধতিতে রেজাল্ট প্রকাশ শুরু হয় এবং ঐ বছর সারা দেশে মাত্র ৭৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ বা A+ অর্জন করে। তার মধ্যে ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকেই ৩০ জন GPA-5 পায় আর সারা দেশ থেকে অবশিষ্ট ৪৬ জন GPA-5 পায়।
এমনকি সে বছর মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সহ দেশের অর্ধেক জেলাতে কোন এ+ ধারী ছাত্র-ছাত্রী ছিল না।
২০০৩ সালে একই ব্যাচ এর মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিক বা এইচএসসি পরীক্ষায়ও দেশে প্রথম গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ শুরু হয়। তার পূর্বে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বিভাগ (Division) পদ্ধতিতে রেজাল্ট প্রকাশ করা হত। যেমন গড়ে ৬০% এর বেশি নাম্বার পেলে ১ম বিভাগ, ৪৫% এর বেশি নাম্বার পেলে ২য় বিভাগ আর ৩৩% এর বেশি পেলে ৩য় বিভাগ বা 3rd division হিসেবে গণ্য করা হত। তবে কোন বিষয়ে ৮০ এর বেশি নাম্বার পেলে তাকে লেটার মার্ক হিসেবে ধরা হত আর সর্ব মোট ৭৫০ এর বেশি নাম্বার পেলে তাকে স্টার মার্ক হিসেবে গণ্য করা হত।
২০০১ সালের পূর্বে প্রতি বোর্ডে বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২০ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হত এবং এই তালিকায় স্থান পাওয়া অত্যন্ত সম্মানের বিষয় ছিল।
পশ্চিমা দেশগুলির সাথে সমন্বয় করে গ্রেডিং পদ্বতি প্রচলন করার পর থেকে দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রতিযোগীতা ও গতি এসেছে।
দেখে নিন গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকে কোন বছর কতজন ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে-
এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (A+) অর্জন
|
|
সাল |
মোট জিপিএ-৫ |
২০০১ | ৭৬ জন |
২০০২ | ৩২৭ জন |
২০০৩ | ১,৩৮৯ জন |
২০০৪ | ৮,৫৯৭ জন |
২০০৫ | ১৫,৬৩১ জন |
২০০৬ | ২৪,৩৮৪ জন |
২০০৭ | ২৫,৭৩২ জন |
২০০৮ | ৪১,৯১৭ জন |
২০০৯ | ৪৫,৯৩৪ জন |
২০১০ | ৫২,১৩৪ জন |
২০১১ | ৬২,২৮৮ জন |
২০১২ | ৮২,২১২ জন |
২০১৩ | ৯১,২২৬ জন |
২০১৪ | ১,৪২,২৭৬ জন |
২০১৫ | ১,১১,৯০১ জন |
২০১৬ | ১,০৯,৭৬১ জন |
২০১৭ | ১,০৪,৭৬১ জন |
২০১৮ | ১,১০,৬২৯ জন |
২০১৯ | ১,০৫,৫৯৪ জন |
২০২০ | ১,৩৫,৮৯৮ জন |
২০২১ | ১,৮৩,৩৪০ জন |
২০২২ | ২,৬৯,৬০২ জন |
২০২৩ | ১,৮৩,৫৭৮ জন |
২০২৪ | ১,৮২,১২৯ জন |