বরকতময় সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজানের রোজার সেহরি ও ইফতারের ৬৪ জেলার সময়সূচি দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্যে এখানে প্রকাশিত হয়েছে। মার্চের ১ তারিখ সাবান মাসের ৩০দিন পূর্ণ হয়ে ২রা মার্চ ২০২৫ সালে, ১৪৪৬ হিজরি থেকে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে মার্চের ১তারিখ দিবাগত রাতে বাংলাদেশের মুসলমানগণ সেহরি খেয়ে রোজা পালন শুরু করবেন।
অবশ্যই চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাস ও রোজা শুরু হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে সাবান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে মার্চের ১ তারিখ থেকে রমজান মাস শুরু হবে, এক্ষেত্রে ২৮শে ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতেই সেহরি খেতে হবে এবং আমরা মাহে রমজান ২ মার্চ শুরু সাপেক্ষে সেহরি-ইফতার সূচীটি প্রকাশ করেছি। সাবান মাস ঊনত্রিশ দিনে শেষ হলে ১লা মার্চ থেকে রোজা শুরু হবে এবং সে অনুযায়ী সূচী সংশোধন করে প্রকাশ করা হবে।
দেশের সকল জেলার অধিবাসীগনই ঢাকা জেলার সময়ের সাথে তাদের জেলার উল্লেখিত সময় সামঞ্জস্য করে এই সূচী অনুসরণ করতে পারবেন।
আরবি/হিজরি বছর একটি চন্দ্র বর্ষ যা ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মহামানব মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) তাঁর জন্মস্থান মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত (সফর) করার সময় থেকে মুসলমানগন গণনা করে আসছে। আর হিজরি বছরের ৯ম মাস মাহে রমজান যা মুসলমানদের জন্যে রহমত, বরকত ও নাজাত লাভের এক মহাপবিত্র মাস। রমজান মাসের পুরো মাস ব্যাপি মুসলমানগন সিয়াম পালন করে থাকেন ও সবসময় আল্লাহর ইবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। এই মাসে আল্লাহর ইবাদত করলে অন্য যে কোন মাসের তুলনায় বেশি নেকী পাওয়া যায়।
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি অনুসরন করে বরাবরের মত এবারও আলোরমেলা আপনাদের জন্যে একটি চমৎকার রোজার ক্যালেন্ডার তৈরী করেছে। ক্যালেন্ডারটি আপনি নিচের এ্যাটাচমেন্ট (সংযুক্তি) থেকে পিডিএফ বা ছবি আকারে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে বা আপনার স্মার্ট ফোনে রেখে অনুসরন করতে পারেন এবং শেয়ার করতে পারেন আপনার পরিচিত জনদেরকেও।
খতমে তারাবীহ’র নির্দেশনা:
বেশ কয়েক বছর ধরে দেশব্যাপী একই নিয়মে তারাবীহ আদায় করা হচ্ছে। তবে লক্ষ্য করা গেছে এখনো কিছু কিছু মসজিদে নিজেদের মত করে খতমে তারাবীহ’র নামাজ আদায় করা হয়। বিভিন্ন মসজিদে একই নিয়মে পবিত্র কুরআনের নির্দ্দিষ্ট অংশ পাঠ করা না হলে ভ্রমনকারী, রোজার মাসে যারা স্কুল, কলেজ, কর্মস্থল থেকে ছুটিতে এক জায়গা থেকে অন্যত্র গমন করেন তারা অনেক সময় ধারাবাহিক ভাবে কুরআনের খতম থেকে বঞ্চিত হন এবং কুরআন খতমের সওয়াব থেকেও বঞ্চিত হন। এই সমস্যা সমাধানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সারা দেশে একই নিয়মে খতমে তারাবীহ পড়ার নির্দেশনা প্রদান করেছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী মাহে রমজানের প্রথম ৬ দিন প্রতি তারাবীহ’তে পবিত্র কুরআনের দেড় পারা করে ৯ পারা পড়তে হবে এবং পরবর্তি ২১ দিন প্রতিদিন এক পারা করে ২১ পারা পড়তে হবে। এতে ২৭তম তারাবীহ’তে পবিত্র কুরআন খতম সম্পন্ন হবে।
দেশের সকল মসজিদে একই নিয়মে কুরআন পাঠ করা হলে দেশে যে কোন স্থানে গমনকারীগনও কুরআন খতম ও তার সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবেন না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত সেহরি ইফতারের সময়সূচি:
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত মাহে রমজানের মূল সময়সূচিটিও আপনাদের জন্যে এখানে শেয়ার করছি। সবগুলি ফাইলই নিচের এটাচমেন্ট হতে পিডিএফ আকারে ডাওনলোড করতে পারবেন এবং প্রিন্ট করে নিজ এলাকায় বিতরন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য যে, বিগত বছরগুলিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইফতারের সময় সতর্কতা মূলক ভাবে ৩ মিনিট বাড়িয়ে ও সাহরীর সময় সতর্কতা মূলক ভাবে তিন মিনিট আগে নির্ধারন করে রোজার সময়সূচি প্রকাশ করত। কিন্তু এবছর (২০২৫) সতর্কতামূলক সময় বাদ দিয়ে সূর্যাস্তের সময়কে ইফতার শুরু ও সুবহে সাদিক’কে সেহরির শেষ সময় নির্ধারণ করেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিটি জেলা কার্যালয় নিজ জেলার সাহরী ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করবে।
সকল স্থানের সূর্যাস্তের মুহুর্ত ও সুবহে সাদিকের তাৎক্ষনিক সময় নির্ধারন করা সাধারন সিয়াম পালনকারীর পক্ষে যথেষ্ঠ দুরুহ বিষয়। তাই দূরবর্তী স্থানের রোজাদারগণ সেহরি ও ইফতারের সময় নির্ধারণের বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।
আলোরমেলা কর্তৃক প্রকাশিত “মাহে রমজানের সময়সূচি”টি পূর্বের ন্যায় ইফতারের সময় সতর্কতামূলক ভাবে ৩মিনিট বাড়িয়ে ও সাহরীর সময় নির্ধারিত সময়ের ৩মিনিট আগে ধরা হয়েছে। তাই নিজ বিবেচনায় ব্যবহার করিবেন।
এছাড়াও আপনার নিশ্চই ইতিমধ্যে খেয়াল করেছেন যে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই-বোনদের সুবিধার্থে আলোরমেলার ডান পাশে সাইডবারের (মোবাইল স্ক্রিনে নীচে) প্রতিদিন পাঁচওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি প্রকাশিত হয়ে থাকে। ঢাকার সময় অনুযায়ী প্রকাশিত এই সূচীর সাথে আপনার এলাকার সময়ের সমন্বয় করে ব্যবহার করতে পারেন।
আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে রমজান মাস শুরু হবে এবং শেষ হবে। সতর্কতার জন্যে সূর্যাস্তের তিন মিনিট পর ইফতার ও মাগরিবের আযানের সময় নির্ধারন করা হয়েছে এবং একই ভাবে সতর্কতার জন্যে সুবহি সাদিকের তিন মিনিট আগে সেহরির শেষ সময় নির্ধারন করা হয়েছে আর ফজরের আযান দিতে হবে সুবহি সাদিকের তিন মিনিট পর অর্থাৎ সেহরির শেষ সময়ে ছয় মিনিট পর ফজরের আযান দিতে হবে।
ঢাকা জেলার বাইরে বসবাসরত রোজাদারগন অবশ্যই সেখানকার সেহরী ও ইফতারের স্থানীয় সময় অনুযায়ী সেহরী ও ইফতার গ্রহন করবেন। এই সেহরি-ইফতার সূচীতে দেয়া আছে কোন জেলার লোকজন ঢাকা জেলার কত মিনিট আগে বা পরে সেহরি-ইফতার পানাহার করবেন।
Attachment(s) |
|
![]() |
পিডিএফ ফাইল 700 KB |
![]() |
পিডিএফ ফাইল 2.7 MB |
![]() |
ইমেজ ফাইল 1.75 MB |